নিজস্ব সংবাদদাতা : বাংলা সাহিত্যের জগতে প্রফুল্লের অবদান অনস্বীকার্য। ‘কেয়া পাতার নৌকো’, ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’, ‘নোনা জল মিঠে মাটি’র মতো উপন্যাস পাঠকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার ১৯শে সেপ্টেম্বর দেজ পাবলিশিং এর উদ্যোগে নন্দন-৩ প্রেক্ষাগৃহে প্রয়াত লেখক প্রফুল্ল রায়ের স্মরণ সভা করা হয়। অনুষ্ঠানটি সূচনা করেন অপু দে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক অমর মিত্র,পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাক্তন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়,চিত্রপরিচালক গৌতম ঘোষ,বুক সেলার্স অ্যান্ড গিল্ডের সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে,সাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক নলিনী বেরা, দে'জ পাবলিকেশন-এর কর্ণধার অপু দে প্রমুখ।

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন দেশভাগ, দাঙ্গা ও প্রফুল্ল রায়ের সাহিত্য নিয়ে। গৌতম ঘোষ পরিচালিত প্রফুল্ল রায়ের উপর একটি তথ্য চিত্রের প্রদর্শন করা হয় । ১৯৩৪ সালে অবিভক্ত বাংলার ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রফুল্ল রায়। দেশভাগের পর ১৯৫০ সালে চলে আসেন ভারতে। তার পর থেকে কলকাতাতেই থাকতেন। দেশভাগের যন্ত্রণা, উদ্বাস্তুদের কথা তাঁর লেখনীতে মূর্ত হয়ে উঠেছিল। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে একের পর এক বইতে সেই যন্ত্রণার বর্ণনা করেছেন তিনি। বেশ কিছু দিন ছিলেন নাগাল্যান্ডেও। সেখান থেকেই ১৯৫৬ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘পূর্ব পার্বতী’ প্রকাশিত হয়। লেখকের জীবনের কথা অনেকটাই জানা যায় এই ছবিতে।