নিজস্ব সংবাদদাতা : শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ কলকাতায় পা রাখলেন তিনি।শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে নামেন ফুটবলের ম্যাজিশিয়ান। ২০১১ সালের পর আবার ২০২৫। ১৪ বছর পর ফের কলকাতায় আর্জেন্টাইন তারকা। রাত ১২.৫০ মিনিটের প্রাইভেট জেটে আসার কথা ছিল মেসির। আড়াইটে নাগাদ কলকাতায় পা রাখেন। নীল ট্রাউজারের ওপর নীল ব্লেজার। ভেতরে গোল গলা সাদা টি-শার্ট। হাতে একটি কালো ছোট ব্যাগ। মুখে লেগে ট্রেডমার্ক লাজুক হাসি। ঘড়ির কাটায় তখন আড়াইটে বেজে গিয়েছে। কিন্তু একগাল হাসি নিয়েই বিমানবন্দর থেকে বেরোতে দেখা যায় বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে। মেসির এক ঝলক পেতে বিমানবন্দরের বাইরে কাতারে কাতারে মানুষ অপেক্ষা করছিল।
মেসি বেরোনো মাত্র উপচে পড়ে ভিড়। ভারত এবং আর্জেন্টিনার পতাকা নিয়ে উচ্ছ্বাসে মাততে দেখা যায় মেসি ভক্তদের। সঙ্গে একনাগাড়ে চলে মেসি, মেসি ধ্বনি। ১৪ বছর আগে তারকা ফুটবলার যখন প্রথমবার কলকাতায় এসেছিলেন, সেদিনও বিমানবন্দরে রাত জেগেছিল ভক্তরা। মধ্যরাতে নামার কথা ছিল মেসির। রাত বারোটা থেকে বিমানবন্দর চত্বরে উৎসুক জনতা ভিড় জমালেও, মেসির দর্শন পাওয়া যায়নি। পুরোনো বিমানবন্দরের পেছনের গেট দিয়ে বের করা হয়েছিল মেসিকে। হতাশ হয়েই মাঝরাতে বাড়ি ফিরতে হয় কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের। এদিন অবশ্য ব্যতিক্রম। ভক্তদের বিমানবন্দরে যাওয়া সার্থক। বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট দিয়েই বেরোন আর্জেন্টাইন তারকা। বিলাসবহুল গাড়ির প্রথম সিটে বসে হাসিমুখেই বিমানবন্দর ছাড়েন মেসি।

মেসি ঝড়ের মাঝেই মাঝরাতে শহরে এলেন কিং খান । যেন আবারও তাঁর ভক্তদের স্বপ্ন সত্যি হওয়ার পালা। তাঁকে একবার সামনে থেকে দেখার পালা।

কলকাতার লেকটাউনে তৈরি হচ্ছে লিওনেল মেসির এক বিশালাকৃতি মূর্তি, যার উচ্চতা হবে প্রায় ৭০ ফুট। শোনা যাচ্ছে, মূর্তিটি মেসি নিজেই উন্মোচন করতে পারেন, তবে তিনি লেকটাউনে সরাসরি উপস্থিত থাকবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। সূত্রের খবর, তিনি সল্টলেক স্টেডিয়াম থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করার সম্ভাবনা বেশি।