পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়েই মেদিনীপুর বিধানসভা উপ নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে সুজয় হাজরা। কার্যালয় থেকে বের হওয়ার আগেই আশীর্বাদ নিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়ার কাছে। মেদিনীপুর শহরের দলীয় কার্যালয় প্রার্থী সুজয় হাজরা কে পরামর্শ দিয়ে আশীর্বাদ করেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, বিধায়ক দীনেন রায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা রানী মাইতি।মেদিনীপুরের প্রয়াত মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি মূর্তিতে মাল্যদান করে তার আশীর্বাদ নিয়ে মনোয়নপত্র জমা দিলেন। সুজয় ঘনিষ্ঠ জেলা ও শহরের নেতারা অবশ্য মনে করিয়ে দিয়েছিলেন।মেদিনীপুরের প্রয়াত বিধায়ক সেই মৃগেন্দ্রনাথ মাইতির ‘সফল’ ইলেকশন এজেন্ট ছিলেন সুজয় হাজরা ছাত্র পরিষদের একনিষ্ঠ কর্মী থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিশ্বস্ত সৈনিক হওয়ার পথে সুজয় কখনও তার নিজের সাদা পোশাকে ‘কালি’ লাগতে দেননি! সর্বোপরি, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘শুভেন্দু-বিহীন’ তৃণমূল কংগ্রেস যখন ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে, সেই সময়ও জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যে ক’জন বিশ্বস্ত সৈনিক মাটি কামড়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে।সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন ‘জয়’ করে নিয়েছিলেন সুজয় হাজরা।এবার মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী করা হয়েছে। বলা ভালো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবথেকে ‘বিশ্বস্ত’ প্রার্থী।
মনোনয়ন জমা দিতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় সুজয় হাজরা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা জয়ী হবো। আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটা ষষ্ঠ বার বিধানসভা উপনির্বাচন । আমি মেদিনীপুর বিধানসভার নির্বাচনে গত পাঁচ বার ভোট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছি। এবার তিনি নিজেই ষষ্ঠ বারের জন্য উপনির্বাচনের লড়াই করছেন। সুজয় দা বলেন আমরা নতুন করে কিছু করতে হবে না। সারা বছর যে ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করে তাদেরকে পরীক্ষার সময় পড়তে হয় না। তারা পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে । আমরা মানুষের মন বুঝি তাই আমরা নিশ্চিত আমরা তৃণমূল সরকার জিতছি।