নিজস্ব সংবাদদাতা : সোমবার নবান্ন সভাঘরের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সাফ প্রশ্ন, “পরিষেবা না পেলে পুরসভার দরকার কী? একের পর এক বেআইনি বাড়ি তৈরি হচ্ছে, বাংলার ছবি বদলে দিচ্ছে। জনপ্রতিনিধি থেকে পুলিশ-আমলা অনেকেই যুক্ত, সবার নাম প্রকাশ্যে বলে অপমান করতে চাই না।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সোমবার রাজ্যের সমস্ত পুরসভাগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন নবান্নে। এ দিনের বৈঠকে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী তোলাবাজি নিয়ে ভর্ৎসনা করেন এ দিন। পুকুর বা জলাশয় ভরাট হলে সঙ্গে সঙ্গে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। এ ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী অবৈধ নির্মাণ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নজরে রাখতে হবে যাতে অবৈধ নির্মাণ না হয়।
১. একটা গ্রুপ তৈরি হয়ে গিয়েছে। খালি জায়গা দেখলেই লোক বসিয়ে দিচ্ছে। একে তো কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। আমি কত টালব? বাংলার আইডেন্টটিটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কেন বুঝতে পারছেন না?
২. পুরসভাগুলোর জঘন্য পারফরম্যান্স। কেন তৈরি করা হয়েছিল, জানি না। সবাই বলে, আলাদা পুরসভা করে দিন, কী লাভ, যদি জনতা পরিষেবা না পায়।
৩. নিজেরা ইচ্ছেমতো টেন্ডার করছেন, সেখান থেকে নিজেরা টাকা খাচ্ছেন। কেউ খাচ্ছেন, কেউ খাচ্ছেন না। নিশ্চয়ই দিয়েটিয়ে খাচ্ছেন। একটা গ্যাং তৈরি হয়ে গিয়েছে।
৪.যারা টাকার বিষয় বেশি উৎসাহী তাঁদের মনে রাখতে হবে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি দামি কিছু নয়। মানুষের জীবনের চেয়ে দামি কিছু নয়। আপনি আপনার কাজ করছেন না, এটা লজ্জার।
৫.টাকার বিনিময়ে পুরসভার জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
৬.বাইরে থেকে এসে এখানে সব জমি দখল করে নিচ্ছে, কারণ টাকার বিনিময়ে। সরকারের অনুমতি ছাড়া সরকারি জমিতে বড় বড় কমপ্লেক্স হয়ে যাচ্ছে।
৭.যারা বেআইনিভাবে অনুমতির বাইরে কনস্ট্রাকশন করছেন তাদের বাড়ি ভাঙছেন না কেন ? গ্রেপ্তার করছেন না কেন ? আমি বলব, আমার বাড়ি থেকেই শুরু করুন।
৮.আমি রাস্তা দিয়ে গেলেই দেখতে পাই। আর পুলিশের নজরে পড়ে না। হাওড়ায় তো কোনও বোর্ড নেই। ফলে চারজন বিধায়ক যা ইচ্ছা তাই করে দিচ্ছেন। নাম করছি না।। আমি আগে এটা সাফ করবো, তারপর নির্বাচনে যাবো।
৯.টেন্ডার করার ক্ষমতা আর লোকালি হবে না। সব সেন্ট্রালি হবে। এটা নিয়ে আমি একটা কমিটি তৈরি করে দিচ্ছি। কিছু হলে আমি তাদের ধরব।