নিজস্ব সংবাদদাতা : ২৯ শে জুন রবিবার শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মহুয়া মৈত্র'র নিশানা প্রসঙ্গে বলেন, "আমি নারী বিদ্বেষী নই। মহুয়া সবচেয়ে বেশি নারী বিদ্বেষী। ও কৃষ্ণনগরের কোন মহিলা নেত্রীকে উঠতে দেয় না। সংসদ পদ ভাঙিয়ে খাচ্ছে। নিজে নারী হয়ে একটা নারীর সংসার ভেঙে একটা ৬৫ বছরের পুরুষকে বিয়ে করে তার কাছ থেকে আমি নারী বিদ্বেষ নিয়ে কোন মন্তব্য শুনতে চাই না। 'আই হেট হার'।

পাশাপাশি দলের মহিলাদের প্রতি 'জিরো টলারেন্স' নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা শাসক সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, 'জিরো টলারেন্স' ঘটনা ঘটার আগে না পড়ে"? কল্যাণ-মদনের বেফাঁস মন্তব্যের পর এক্স-এ এক পোস্টে মহুয়া মৈত্র লেখেন, 'ভারতে নারীবিদ্বেষ দলীয় সীমানা দেখে না।। পার্থক্য হল, যেই ভুল করুক না কেন, তৃণমূল কংগ্রেস এই জঘন্য মন্তব্যগুলির নিন্দা করে।' তৃণমূলের বিবৃতি অনুযায়ী, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মদন মিত্র তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত থেকে এই মন্তব্য করেছেন, তাঁদের এই মন্তব্য কোনও ভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।দক্ষিণ কলকাতার এক নামী আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। এই ঘটনায় তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্রের মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দল যখন আনুষ্ঠানিকভাবে দুই তৃণমূল নেতার মন্তব্যের দায়কে ব্যক্তিগত বলে উল্লেখ করে দায় ঝেড়ে ফেলেছে, তখনই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কড়া ভাষায় এর প্রতিক্রিয়া জানান।