নিজস্ব সংবাদদাতা: আজ সোমবার শহিদ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর প্রয়াণ দিবস । ১৯০৮ সালের এই দিনে মাত্র ১৮ বছর বয়সে হাসিমুখে ফাঁসিকাঠে ঝুলেছিলেন তিনি । দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য প্রাণ উৎসর্গের এমন দৃষ্টান্ত ইতিহাসে বিরল । এই দিনটি বাঙালি জাতির জন্য যেমন বেদনার, তেমনই গর্বেরও । শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর ১১৮ তম আত্মবলিদান দিবস পালিত হলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের অন্তর্গত জন্মভূমি মোহবনীতে। পিতা তৈলক্যনাথ বসু ও মাতা লক্ষীপ্রিয়া দেবীর কনিষ্ঠ সন্তান ক্ষুদিরাম ছোটবেলা থেকেই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ছিলেন। অল্প বয়সেই তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। ব্রিটিশ জজ কিংসফোর্ডের হত্যার উদ্দেশ্যে মুজাফফরপুরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে মাত্র ১৮ বছর বয়সে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন তিনি।

১৯০৮ সালের ১১ই আগস্ট ভোর পাঁচটায় বিহারের মুজাফফরপুর জেলে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয়।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদরী, জেলা তথ্য ও সাংস্কৃতিক আধিকারিক বরুণ মন্ডল,মেদিনীপুর সদরের মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখার্জি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি, সহ-সভাপতি অজিত মাইতি, কেশপুরের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কোশিষ রায় সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

ক্ষুদিরাম বসু শুধু একজন কিশোর বিপ্লবী নন, তিনি ছিলেন সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক। তাঁর জীবনের প্রতিটি অধ্যায় আমাদের শেখায়—বয়স নয়, দৃঢ়সংকল্পই ইতিহাস বদলায়।স্বাধীনতার জন্য প্রয়োজন আত্মত্যাগ ও নির্ভীক মন।সত্যিকারের দেশপ্রেমে ভয় থাকে না।

আজও যখন আমরা জাতীয় পতাকা উড়াই, ক্ষুদিরামের হাসিমাখা মুখ যেন বাতাসে ভেসে আসে—আমাদের মনে করিয়ে দেয়, স্বাধীনতার প্রতিটি নিশ্বাস ঋণী তাঁদের কাছে, যারা জীবন দিয়ে আমাদের মুক্তি নিশ্চিত করেছিলেন।