নিজস্ব সংবাদদাতা : সম্প্রতি কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা লন্ডনের আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে, তাঁদের ভ্যাকসিনে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। এই ভ্যাকসিনের কারণে থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম বা টিটিএস নামের বিরল রোগের সম্ভাবনা রয়েছে। যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। প্রভাব পড়েছে ভারতেও। ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট প্রধানমন্ত্রীর ছবির নিচে একটি ছোট্ট বার্তাও ছিল। বলা ছিল, “আমরা একসঙ্গে করোনাকে হারাব।”কিন্তু কোভিশিল্ড নিয়ে বিতর্কের পর নাকি রাতারাতি ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে মোদির ছবি। সোশাল মিডিয়ায় একাধিক নেটিজেনের তেমনটাই দাবি। এখন ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে গেলে দেখা যাচ্ছে সার্টিফিকেটে সবটাই রয়েছে। “আমরা একসঙ্গে করোনাকে হারাব”, এই বার্তাও লেখা রয়েছে। তবে মোদির ছবি উধাও। কোভিশিল্ড নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই তুঙ্গে বিতর্ক সোশাল মিডিয়ায়। করোনার ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে মোদির ছবি থাকা নিয়ে একটা সময় দেশজুড়ে বিতর্ক হয়েছে। বিরোধীরা একযোগে আক্রমণ করেছে শাসক শিবিরকে। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে মোদির ছবি থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তা সত্ত্বেও সরকার অবস্থান বদলায়নি। সার্টিফিকেটে মোদির ছবি রাখার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এদেশে ভ্যাকসিন তৈরির দায়িত্ব ছিল সেরাম ইনস্টিটিউটের উপর। সেই সেরামের বিরুদ্ধেও সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। নেটিজেনদের ধারণা, এই বিতর্কের জেরেই ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট থেকে মোদির ছবি সরানো হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্র সেই দাবি অস্বীকার করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্র বলছে, কোভিশিল্ড বিতর্কের জেরে নয়। ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট থেকে মোদির ছবি সরানো হয়েছে কারণ দেশে নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হয়ে রয়েছে।