নিজস্ব সংবাদাতা : বছর একাশির ঝাড়গ্রামের দহিজুড়ির অনুপকুমার পাল ২০১৯ সালে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগে সস্ত্রীক অঙ্গীকার করেছিলেন মরণোত্তর দেহদানের। কিন্তু বৃদ্ধর মৃত্যুর পরেও মেডিক্যাল কলেজে দেহদানের জন্য পরিজনদের ছুটতে হল চারিদিক। ঝাড়গ্রাম-মেদিনীপুর হয়ে দেহ জায়গা পেলো বাঁকুড়ার সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগে। প্রথমত, দেহ সংরক্ষণের জন্য ঝাড়গ্রাম মেডিক্যালে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই, তাঁরা দেহ ফেরান সূত্রের খবর তাই বলছে। অন্যদিকে আবার অতিরিক্ত দেহ নিতে নারাজ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ। বিষয়টি সম্পর্কে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সুস্মিতা ভট্টাচার্য জানান, ‘‘আমাদের নতুন মেডিক্যাল কলেজ। কিছু সমস্যার কারণে দেহটি নেওয়া যায়নি।’’ তবে দেহ সংরক্ষণের জন্য ঝাড়গ্রাম মেডিক্যালে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। মৃতের ছেলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে যোগাযোগ করলে অ্যানাটমি বিভাগ থেকে বলা হয় পর্যাপ্ত দেহ রয়েছে তাই অতিরিক্ত মৃতদেহ নেওয়া সম্ভব নয়। বিষয়টি জানতে পেরে এগিয়ে আসেন ঝাড়গ্রাম ডিস্ট্রিক্ট ভলান্টরি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সম্পাদক চন্দন শতপথী। কথা বলেন দেহদান অঙ্গীকারের সংস্থা ‘গণদর্পণে’র সঙ্গে। ওই সংস্থার মাধ্যমেই মরণোত্তর দেহ নিতে রাজি হয় বাঁকুড়ার সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগ। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ অর্পণকুমার গোস্বামী জানান, ‘‘দেরিতে দেহটি আসায় অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। তবে মেডিক্যাল পঠনপাঠনের কাজে দেহটি ব্যবহার করা হবে।’’