Skip to content

প্রায় ৩০ ফুটের 'মোটা কালির' পুজো হয়ে আসছে ৫৬ বছর ধরে!

1 min read

পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব প্রতিবেদন : মেদিনীপুর শহরে যে সব কালীপুজো গুলো হয় তার এক এবং অন্যতম হলো মানিকপুর ভ্রাতৃ সংঘের মোটা কালীর পুজো। উচ্চতার বৃহৎ আকারের এই কালীপ্রতিমা "মোটা কালী" নামে বিশেষভাবে পরিচিত।এই মোটা কালীর নামের অর্থ হিসেবে বলতে গেলে বলা যায়, বিগত দিনে এলাকার কুস্তিগীর বা ব্যায়াম এবং কুস্তি করত, তারাই প্রথম এই কালী পুজোর সূচনা করেন। তবে তারা তাদের মতনই কালীপুজো গড়ে তোলেন সেই সময়। প্রায় ৫৬ বছর আগে তারা মা কালীর ভঙ্গি এবং আদল চেঞ্জ করে ফেলেন। তারা প্রায় ৩০ ফুটের মোটা কালী প্রতিমা গড়ে পুজো শুরু করেন। এই প্রতিমা বিসর্জনের ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে তাই তারা গরুর গাড়ির উপরেই এই কালী প্রতিমা তৈরি করেন। প্রথমে খড় বাঁশ দিয়ে কাঠামো তৈরি করা হয় গরুর গাড়িতে।এর পর মাটি লেপে রং করা হয় এবং কালীপুজোর পর সেই গরুর গাড়িতে করেই নদীতে নিয়ে গিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমাকে।আর এই প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার দুধারে ভীড় জমায় মানুষজন। আতশবাজি প্রদর্শন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মধ্য দিয়ে এই প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লোপ পেয়েছে এই পুজোর আভিজাত্য এবং বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে সেই কুস্তিগীররাও। আজ আর কুস্তিগীরদের কেউ নেই। কিন্তু নতুন প্রজন্ম সেই মোটা কালীর তকমা দেওয়া কালীপুজো আজও করে চলেছেন। একসময় পুজো হতো মানিকপুরের মাঠে কিন্তু কোর্ট কেস কাছারিতে জর্জরিত হওয়ার পর সেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন উদ্যোক্তরা। তারা এখন এই কালীপুজো করেন ওই চত্বরের রাস্তার পাশে। সেই মোটা কালীর প্রস্তুতি ইতিমধ্যে চলছে জোর কদমে। প্রায় একমাস ধরে গড়ে তোলা হচ্ছে এই কালী প্রতিমা তবে গরুর গাড়িতে।এই মোটা কালির উদ্যোক্তা তারাপদ দাস বলেন একসময় এলাকার উঠটি তরুণ কুস্তিগীররা এই পুজো করত। সেই থেকে এই কালি প্রতিমার নাম হয় মোটা কালি। কিন্তু আস্তে আস্তে তাদের এই পুজো এখন আমরা বহন করে চলেছি। তবে তাদের সেই পুজো মত কালির আখ্যায়িত মোটা কালী আজও একই ভঙ্গিমায়। এবছর আমাদের ৫৬ বছরের পা রেখেছে যার বাজেট সাড়ে ৩ লক্ষ থেকে চার লক্ষ টাকার মত এবং নিয়ম রীতি-নীতি মেনে প্রতিমা বিসর্জন শোভাযাত্রা হবে।

Latest