নিজস্ব সংবাদদাতা : অশান্ত হয়ে উঠেছে প্রতিবেশী দেশ নেপাল। এর জেরে ভারত–নেপাল সীমান্তজুড়ে কড়া নজরদারি শুরু করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বিশেষ করে দার্জিলিং জেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার পানিট্যাংকি সীমান্তে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। পরিস্থিতি স্বচক্ষে পরিদর্শন করতে মঙ্গলবার বিকেলে সীমান্ত এলাকায় পৌঁছান উত্তরবঙ্গের আইজি রাজেশ কুমার যাদব। সীমান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা ও নিরাপত্তার খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখেন তিনি। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকও করেন বলে সূত্রের খবর।

প্রতিবেশীর দেশের এই পরিস্থিতির কারণে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিল করে দেওয়া হল বিহারের কিশনগঞ্জ-নেপাল সীমান্তবর্তী গলগলিয়ার ভাতগাঁও বর্ডার।

তবে সূত্রের খবর, নেপালে আটক ভারতীয়রা এবং ভারতে আটক নেপালের নাগরিকরা যাবতীয় নথিপত্র দেখালে যৌথবাহিনী চলাচলের অনুমতি দিচ্ছে। পাশাপাশি জয়নগর থেকে নেপালের জনকপুরের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন ও মালগাড়ি চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারতীয় রেল।

বন্ধ রয়েছে পাটনা ও বুদ্ধগয়া থেকে কাঠমান্ডু পর্যন্ত চলাচলকারী ভারত-নেপাল মৈত্রী বাস।সিল করা হয়েছে বিহারের ৬টি জেলার নেপাল সীমান্ত। তবে এখনও পর্যন্ত দীঘলব্যাংক, টেরাগছ ও অন্যান্য নেপাল সীমান্ত সিল করা হয়নি। কিশনগঞ্জের পুলিশ সুপার সাগর কুমার জানিয়েছেন, কিশনগঞ্জের নেপাল সীমান্তবর্তী এলাকায় এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক ও শান্তই রয়েছে।