নিজস্ব প্রতিবেদন : শীতকালে ছুটি মানেই পরিবার বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে এদিক-ওদিক বেরিয়ে পড়া। কথা শিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মস্থান দেবানন্দপুরে পর্যটনকেন্দ্র তৈরি করবে রাজ্য পর্যটন দফতর। চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে এই ঘোষণা করা হয়েছিল। ২১ ডিসেম্বর কলকাতা ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল উদ্বোধনের অনুষ্ঠান থেকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একজন বাঙালি লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মস্থান হুগলির দেবানন্দপুরে গড়ে উঠবে পর্যটন কেন্দ্র। রাজ্য পর্যটন দফতরের তরফে আগেই এই কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। দেবদাস, পরিণীতা, চরিত্রহীন, গৃহদাহের মতো অসংখ্য কালজয়ী উপন্যাসের অমরস্রষ্টা শরৎচন্দ্রের জন্মস্থানকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে রাজ্য সরকারে এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছিল।হুগলির ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে দেবানন্দপুর। ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। সেই সাহিত্যিকের জন্মভিটে ও গ্রাম কেমন যেন অনাদরে ছিল। শরৎচন্দ্রের বসত বাড়ি সংস্কার, একটি সংগ্রহশালা, তাঁর নামাঙ্কিত একটি সেমিনার হল ও স্কুল ছাড়া এই গ্রামে আর কিছু হয়নি এতদিন। স্থানীয়দের দাবি ছিল হাওড়ার সামতাবেড়ের মতো হুগলির দেবানন্দপুরকেও পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হোক। এতদিন পর সেই চাহিদা পূরণ হতে চলেছে।