মহিলা সাংবাদিককে‘হেনস্থা’ অভিযোগে,প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যকে তলব বরাহনগর থানার,সাসপেন্ড করল সিপিএম!

নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার দুপুরে ফেসবুক লাইভে এক মহিলা সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। মহিলা সাংবাদিক জানান,সকালে তিনি সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় সিপিএম নেতা তাঁর কোলে বসে পড়েন। যা মুহূর্তের মধ্যে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। দলের ইন্টারন্যাল কমপ্লেন কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এমনকি তারপরই তাঁকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন সিপিএম। অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির তদন্ত যত দিন না শেষ হচ্ছে সেই দিন পর্যন্ত দলের বাইরে থেকে অপেক্ষা করতে হবে সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যকে। যদিও দলের এই সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক বললেন প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। তারই সাথে মুখ খুললেন মহিলা সাংবাদিককে ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় কী হয়েছিল তা নিয়েও। প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, “মেয়েটি সকাল ১০টা নাগাদ আসে। আমার বড় বৌদি দরজার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। মিনিট ২০-২২ ইন্টারভিউ নেয়। এর আগেও মেয়েটি অনেকবার আমার বাড়িতে ইন্টারভিউ নিয়েছে। মেয়েটি অভিযোগ করেছে, এর আগেও আমি নাকি তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করেছি। তা সত্ত্বেও এতদিন চ্যানেলের এডিটরকে বলেনি। বলতে পারত,তন্ময় ভট্টাচার্যর ইন্টারভিউ আমি নেব না। মেয়েটি আমার ইন্টারভিউ নেওয়ার পর জানায়, আরও একজনের ইন্টারভিউ নিতে যাবে। ধরে নিচ্ছি, সেখানে সে গিয়েছিল। তারপর অফিসে গিয়ে মনে হল। বসকে জানাল। তারপর বসের অনুমতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো করল। বলুন তো মানসিক বিপর্যস্ত, বিধ্বস্ত অবস্থায় এত কাজ করা যায়? আমার বাড়ি থেকে বরাহনগর থানা ৫ মিনিট দূরে। সেই থানায় গেল না কেন? তার ক্যামেরাপার্সন তখন কিছু বলল না কেন? আমি কিছু মেলাতে পারছি না।” এই ঘটনায় ওই মহিলা সাংবাদিক বরাহনগর থানায় তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারই ভিত্তিতে সোমবার তন্ময় ভট্টাচার্যকে থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। প্রায় তিন ঘণ্টা থানায় বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। বিশেষ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই আইনজীবীর পরামর্শ নিয়েছেন সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য।