Skip to content

হাইকোর্টে চাকরি বহাল, কিন্তু লড়াই থামছে না— সুপ্রিম কোর্টের পথে তরুণজ্যোতি ও কৌস্তভ!

নিজস্ব সংবাদদাতা : কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বত্রিশ হাজারেরও বেশি কর্মীর চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়— নয় বছর ধরে কর্মরত হাজার হাজার মানুষের চাকরি হঠাৎ বাতিল হলে ভয়াবহ সামাজিক প্রভাব পড়বে, পরিবারের ওপরও পড়বে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। তাই আদালত চাকরি স্থগিত রাখার আবেদন মানেনি।

এই সিদ্ধান্তের পরই মামলার মূল আবেদনকারী আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ঘোষণা করেন— এবার তাঁরা যাবেন সুপ্রিম কোর্টে। তাঁর বক্তব্য, “আদালতের উপর সম্পূর্ণ ভরসা আছে। কোর্ট সব পক্ষ শুনেছে। তার জন্য ধন্যবাদ। আমরা বলেছিলাম স্থগিত রাখতে। তবে বিচারপতি স্থগিত রাখেনি। বিচারপতি দুর্নীতির কথাও বলেছেন, তবে মূল বিষয় ছিল সেন্টিমেন্ট (আবেগ)। এখানে কিন্তু দুর্নীতির জয় হয়নি। তদন্ত চলবে। আমরা এবার সুপ্রিম কোর্টে যাব।”

আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া নিয়ে গলদের কথা তুলে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল—পুরো সাক্ষাৎকার পদ্ধতিই ত্রুটিপূর্ণ। তবে ডিভিশন বেঞ্চ আজ জানায়, আদালত কোনও ‘রোমিং এনকোয়ারি’ চালাতে পারে না,
নয় বছর ধরে যাঁরা পড়াচ্ছেন, তাঁদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি,পরীক্ষক ঘুষ নিয়ে অতিরিক্ত নম্বর দিয়েছেন—এ নিয়ে কোনও প্রমাণ আদালতে নেই। ফলে গোটা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ বলে একক ভাবে ঘোষণা করা যাবে না বলেই মত আদালতের। এদিকে তরুণজ্যোতির পাশাপাশি মুখ খুলেছেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচিও। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন— “সেন্টিমেন্টের দোহাই দিয়ে দুর্নীতি আইনি মান্যতা পেতে পারে না। হলফ করে বলতে পারি, এই রায় বহাল থাকবে না। থাকতে পারে না। এমন রায় থাকলে ভয়ংকর নজির তৈরি হবে।” বেঞ্চের রায় যেমন স্বস্তি দিয়েছে চাকরিতে বহাল থাকা হাজার হাজার কর্মীকে, ঠিক তেমনই নতুন করে জেগে উঠেছে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি।

Latest