কলমে - ডাঃ শুদ্ধসত্ত্ব চট্টোপাধ্যায়
গ্রামের ধারে ছোট্ট সে ঘর
চাল ছিলো তার টিনের ঢাকা।
কাল কে হঠাৎ ঘটলো যে কি
চাল,দেওয়াল সবই ফাঁকা।
ঢিল ছোড়া পথ ভিনরাজ্যে
মেঠো রাস্তায় গাড়ির চাকা।
আকাশ ঢাকা কালো ধোঁয়ায়
মাংসপোড়া গন্ধ মাখা।
ধোঁয়ায় ঢাকা জ্যৈষ্ঠ দুপুর
নীল আকাশও অন্ধকারে।
পুকুরপাড়ে কি যেন পড়ে
সাদা কাপড়ে উঁকি মারে।
গ্রামের মানুষ ছেঁড়া বসন
নেইকো কোনোও প্রাণের দাম।
টুকরো হয়ে ছড়িয়ে গেল
কঠিন জীবনে পরম আরাম।
কলজেটা তো এখনো তাজা
বারুদ আগুন নিয়েছে সেঁকে।
হাড়গুলো আজ ঝলসানো তার
রক্ত মাংস সঙ্গে মেখে।
পুলিশ তখন ঘুমিয়ে ছিলো
নিদ্রায় বুঁদ প্রশাসনও ।
শুধুই ছিল বাজি কারবার
হপ্তা পেলেই বসে গোনো।
ভানু তো পেয়েছিলোই লটারি
আজ নয় কো দশক আগে।
বোমা বেঁচেই চলছিল বেশ
পুলিশ তাকে পায়নি বাগে।
মরেছিল ভাই বাঁধতে বোমা
তবুও ভানু কর্মে স্থির।
শকুনির পাশা ভায়ের হাড়ে
রাবন নাকি আলমগীর ।
নেতার হাতে হাতকড়া
এসব আবার হচ্ছে নাকি ।
কত চোর রাজ্য ছেড়ে
পালিয়েছে দিয়ে ফাঁকি।
নরমেধ যজ্ঞ হলো
ঝলসে গেলো দশেক লাশ ।
ভানু হলেন রাজ্য ছাড়া
জষ্টিমাসে সর্বনাশ ।
বড্ড সস্তা মানবজীবন
এদিক ওদিক ছড়িয়ে গেলো ।
জতুগৃহে জীবনযাপন
মরণ এসে শান্তি দিলো ।
শান্ত হলেন বিদ্যাসাগর
শান্ত হলেন মাতঙ্গিনী ।
ক্ষুদিরামের জন্মভিটায়
খেললো জীবন ছিনিমিনি।