নিজস্ব সংবাদদাতা : চন্দননগরের সাহেববাগান এলাকার ২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে খ্যাপা কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে বুধবারের প্রচার আরম্ভ করেন রচনা। সেখান থেকে ১৯, ২০, ২১ এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ডে জনসংযোগ সারেন। প্রবল গরমের মধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় চলে তারকা রচনার প্রচার। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে রচনা বলেন, ‘‘সব মন্দিরে ঘুরে ঘুরে পুজো দিচ্ছি। বহু মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও যাঁরা আমাকে আশীর্বাদ করছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।’’ এর পরেই রচনার প্রশ্ন, ‘‘রাম তো সকলের। রাম বিজেপির কবে থেকে হল? আমরা সব ঠাকুরকেই পুজো করি। লক্ষ লক্ষ ভগবান ভারতে। রাম, সীতা, লক্ষ্মণ, হনুমানজিরও পুজো করি রোজ। যেখানেই রামের পুজো হচ্ছে খবর পেয়েছি, আমি সেখানে গিয়ে মাথা ঠেকিয়ে এসেছি।’’
অন্যদিকে রামনবমীর দিন মমতার সুরেই লকেট বলে উঠলেন, ‘‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’’। ‘‘এ বার রামনবমীর উৎসবে আবেগ অনেক বেশি। কারণ, পাঁচশো বছর পর অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বাংলায় সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাকেন। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। কিন্তু উনি দাঙ্গার দিন বলে রামকে অপমান করেছেন। আমার মনে হয়, উনি যেটা বলেছেন, সেটা ওঁর প্রত্যাহার করা উচিত। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বার বার এই দিনটিকে টার্গেট করছেন। বিভেদ সৃষ্টি করে ভোটের ফয়দা তুলতে চাইছেন। এতে কোনও লাভ হবে না। মানুষ ওঁকে প্রত্যাখ্যান করবেন।’’