Skip to content

পশ্চিমবঙ্গের ফুলচাষীদের দশ দফা দাবীতে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান!

পূর্ব মেদিনীপুর,অশোক গিরি। : ফুলকে 'অর্থকরী কৃষিপণ্য' হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান,পশ্চিমবঙ্গে অন্তত: একটি ফুলের গবেষণাগার নির্মাণ,কলকাতার মল্লিকঘাট ফুলবাজারকে অত্যাধুনিক ফুলবাজার হিসাবে গড়ে তোলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গড়ে ওঠা ফুলবাজারগুলিকে আধুনিক ফুলবাজার হিসাবে গড়ে তোলা,ফুল থেকে উপজাত সামগ্রী তৈরীর কারখানা নির্মাণ,ফুল পরিবহনের জন্য রেলে ও বিমানে কোটা পদ্ধতি চালু প্রভৃতি ১০ দফা দাবীতে আজ 'সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতি'র পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের দপ্তরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র নায়ক ও সদস্য জয়দেব বেরা,শুভাশিস মন্ডল প্রমুখ। মন্ত্রীর প্রাইভেট সেক্রেটারি স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। অন্যান্য দাবীগুলির মধ্যে অন্যতম হল-পূর্ব মেদিনীপুর,নদীয়া প্রভৃতি জেলাগুলিতে অবিলম্বে "হর্টিকালচার ক্লাস্টার" প্রজেক্ট চালু,ফুলচাষীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান ও কৃষিবীমা প্রকল্পের অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রভৃতি। নারায়ণ চন্দ্র নায়ক অভিযোগ করে বলেন, দেশের মধ্যে তামিলনাড়ু,কর্নাটকের পর ফুলচাষে পশ্চিমবঙ্গের স্থান হলেও রাজ্যের সর্ববৃহৎ কলকাতার মল্লিকঘাট ফুলের বাজারটি বসে এক পুঁতিগন্ধময় পরিবেশের মধ্যে। শুধু তাই নয়,আজো কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ফুল "কৃষিপণ্য" হিসেবে স্বীকৃত নয় বলে,ফুলচাষিরা পায় না বীমার সুযোগ। এছাড়াও রাজ্যে সরকারী উদ্যোগে কোন ফুল সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায়,নষ্ট হয় অত্যধিক পরিমাণে ফুল। নারায়নবাবুর আরো অভিযোগ,ফুল থেকে ভেষজ রং,আবির বা সুগন্ধি তৈরীর কোন বিশেষ উদ্যোগ না থাকায় বিভিন্ন সময় ব্যাপক পরিমাণে ফুল নষ্ট হয়। উক্ত সমস্যা সমাধানে অতিসত্বর কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবীতে আজ কৃষিমন্ত্রীকে ওই স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

Latest