নিজস্ব সংবাদদাতা : নিউজ শুধু শেখ শাহজাহান ... শেখ শাহজাহান রাজনৈতিক পরিচয় তিনি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। পাশাপাশি সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি। সালটা ২০০৩- তিনি সন্দেশখালি-সরবেড়িয়া রুটে একটি ট্রেকারের হেল্পার ছিলেন। তাঁর মামা ছিলেন পঞ্চায়েতের সদস্য। আর সেই সূত্র ধরেই তিনি মাছের ভেড়ির ব্যবসায় নামেন। আর তাতেই নাকি লক্ষ্মীলাভ হতে শুরু করে তাঁর। ব্যবসায় লক্ষ্মীলাভ করার পর রাজনীতিতে ধীরে ধীরে প্রবেশ করেন শাহজাহান। বাম জমানা থেকে তাঁর রাজনৈতিক উত্থান। সেই সময় স্থানীয় বিধায়ক অনন্ত রায়ের আস্থাভাজন ছিলেন তিনি, উঠে এসেছে এমনই তত্ত্ব। ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর তৃণমূলে যোগদান। সেই সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরেই তাঁর ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখানো বলে দাবি স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের। বাম জমানাতে তিনি বিধায়ক ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু, কোনও পদে তিনি ছিলেন না।এলাকায় তাঁর প্রভাব ছিল নজরকাড়া। ২০১৯ সালের লোকসভ ভোটে সন্দেশখালি থেকে নুসরতকে 'লিড' পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল এই শাহজাহানের। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শেখ শাহজাহানকে প্রার্থী করা হয়। তিনি নির্বাচনে জিতে কর্মাধ্যক্ষ হন। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীনই উঠে আসে শাহজাহানের নাম। সেই সুবাদে সন্দেশখালি গিয়েছিলেন ইডি কর্তারা। তবে শাহজাহান বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল ইডিকে।এলাকাবাসীর শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে কোনওভাবেই তাঁর প্রতাপ অস্বীকার করার মতো নয়।শেখ শাহাজাহানের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা একে একে নানান অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন শাহজাহানের বিরুদ্ধে। জমি দখল, খুন, এমনকী যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে শাহজাহান এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। এই আবহে উত্তম সরদার, শিবু হাজরাদের গ্রেফতার করা হয়। তবে 'সন্দেশখালির বাঘ' এতদিন অধরা ছিলেন। তবে আজ ভোর হতে না হতেই জানা যায়, পুলিশের জালে খাঁচাবন্দি হয়েছেন 'বাঘ'।