নিজস্ব সংবাদদাতা: বারুইপুর থানার ইন্দ্রপালা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়াল এক মানবিক ঘটনার জেরে। বারুইপুরে বৃদ্ধা মাকে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল গুণধর ছেলে-বৌমার বিরুদ্ধে। বছর সত্তরের বৃদ্ধা বিমলা দে চরম অত্যাচারের শিকার হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বড় ছেলে স্বপন দে ও পুত্রবধূ তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে চলেছেন। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বিমলা দেবী জানান, ছেলের বাড়িতেই তিনি থাকেন, কিন্তু সেখানে তাঁর প্রতি কোনও সম্মান বা যত্ন নেই। বরং, প্রতিনিয়ত অপমান, বঞ্চনা এবং কখনও কখনও শারীরিক নিগ্রহের শিকার হতে হয় তাঁকে। "খাবারও সময়মতো পাই না। একটু কিছু বললেই বৌমা গালাগালি করে, আর ছেলে মারধর করে," চোখের জল মুছতে মুছতে বললেন, “ছেলেকে এত কষ্ট করে বড় করেছি, কখনই ভাবিনি বড় হয়ে এমনটা হবে। যত্ন করা তো দূরের কথা। দুবেলা দুমুঠো খেতে পর্যন্ত দেয় না ঠিক করে। পাড়ার লোক অনেক বুঝিয়েছে। কিছুতেই কিছু হয়নি।”বৃদ্ধার নাকে পরিষ্কার ব্যান্ডেজ দেখা যায়, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে তিনি শারীরিকভাবে আহত হয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি বারুইপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। সমাজে বয়স্কদের প্রতি এই ধরনের নিষ্ঠুর আচরণ যে কোনও সভ্যতার কলঙ্ক, সে বিষয়ে সবাই একমত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে এলাকাবাসীর তরফে।
ছেলে-বৌমার নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধা,বারুইপুর থানায় অভিযোগদায়ের !
