Skip to content

সাড়ে পাঁচ বছর নির্বাসিত জীবনের পর স্বদেশে ফিরলেন বাংলাদেশের সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান!

1 min read
ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণের পর উৎসুক জনতার ভালোবাসায় সিক্ত প্রখ্যাত বাংলাদেশি সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন৷ ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে৷

ঢাকা, জাকির হোসেন:  বাংলাদেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের পাঠকপ্রিয় আপসহীন দৈনিক পত্রিকা 'আমার দেশ'-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর প্রবাসে নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্বদেশে ফেরেন তিনি। এদিন সকাল সাড়ে ন'টায় কাতার এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তুরস্ক থেকে ঢাকায় বিমানবন্দরে পৌঁছান মাহমুদুর রহমান। সেখানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সহ বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতারা মাহমুদুর রহমানকে অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরের বাইরে সহস্রাধিক ছাত্র-জনতা সমবেত হয়ে মাহমুদুর রহমানকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে গাড়িতে খোলা ছাদে দাঁড়িয়ে সমর্থক-শুভাকাঙ্ক্ষীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।

বিমানবন্দরের বাইরে সহস্রাধিক ছাত্র-জনতার উদ্দেশে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘একসময় বাংলাদেশের যে তরুণ কিউবার বিপ্লবের নায়ক চে গুয়েভারাকে বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করত, সেই বাংলাদেশের তরুণ এখন আবু সাঈদকে তাদের আদর্শ হিসেবে জানে।’ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আমি আমার মতো করে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে লড়াই করে গেছি। রাজনৈতিক দল বিএনপি বলেন, জামায়াত বলেন, অন্যান্য দল বলেন, তারা তাদের মতো করে লড়াই করেছে। আর আমি লড়াই করেছি আমার মতো করে আমার দেশ পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে। আমার লড়াই ছিল বুদ্ধিবৃত্তির লড়াই, আমার লড়াই ছিল কালচারের লড়াই।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের শাসনামলে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সারা দেশে ১২৪টিরও বেশি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে হয়রানি করা হয়। একটি মামলায় মাহমুদুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। মামলায় তাঁকে কারা নির্যাতনও ভোগ করতে হয়। প্রথম দফায় ২০১০ সালের জুন মাসে ও দ্বিতীয় দফায় ২০১৩ সালের এপ্রিলে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং তাঁর সম্পাদিত আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দেয় স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার। সে সময় গ্রেপ্তারের পর এই সাংবাদিককে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়৷ ২০১৮ সালের জুলাইতে কুষ্টিয়ায় একটি মানহানি মামলায় জামিন নিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ও বিশ্বে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিচিতি পাওয়া 'ছাত্রলীগ' এর সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন মাহমুদুর রহমান। তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে হামলা করে ছাত্রলীগ৷ ওই হামলায় তাঁর মাথা ও মুখ ব্যাপকভাবে জখম হয়। এ ছাড়া তাঁকে বহনকারী গাড়িটি ভেঙে দেয় হামলাকারীরা। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে সেদিন আদালত চত্বর ছেড়ে যেতে সমর্থ হন মাহমুদুর রহমান৷ এরপরই তিনি প্রবাসে চলে যান৷ সেখানেই নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে স্বৈরাচারমুক্ত স্বদেশে ফিরলেন এই কিংবদন্তি সাংবাদিক৷

কুষ্টিয়া আদালত চত্বরে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের হামলায় রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমান। ২০১৮ সালের ২২ জুলাই৷ চিত্র: সংগৃহীত৷

Latest