ঢাকা, জাকির হোসেন : জাতিসত্তার অধিকার চাইতে গিয়ে ঢাকার রাজপথে প্রকাশ্যেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের হাতে শ্লীলতাহানি ও মারধরের শিকার হতে হল আদিবাসী চাকমা তরুণীদের। আর পুরো ঘটনাই ঘটেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে। হামলাকারীদের প্রতিহত করা তো দূর অস্ত, উল্টে নিরীহ আদিবাসীদের মারধরে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ উঠেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মী ও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই লজ্জাজনক ঘটনার ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নিন্দায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। 'ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। বাংলাদেশের নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পাঠ্যবইয়ে একটি গ্রাফিতি ছাপা হয়েছিল। ওই গ্রাফিতিতে একটি গাছের পাঁচটি পাতাকে বাংলাদেশের পাঁচটি সম্প্রদায় হিসাবে দেখানো হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল 'আদিবাসী' সম্প্রদায়। কিন্তু ওই গ্রাফিতি বদলানোর জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্তাদের চাপ দেন জামায়াত ইসলামীর শাখা সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ওই হুমকির মুখে গ্রাফিতি বদল করে এনসিবিটি কর্তৃপক্ষ।



অভিনেতা জয়া আহসান সোশ্যাল মিডিয়া তে পোস্ট করেন "'আদিবাসী' নাগরিকদের রক্তে ঢাকার রাস্তা যেভাবে রক্তাক্ত করা হলো, সেটা মর্মান্তিক। এই রক্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জখম আত্মা থেকেই বের হলো। কারণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আদিবাসীরাও শরিক হয়েছিল।একদিকে আমরা সংবিধানের বৈষম্য দূর করতে চাচ্ছি, অন্যদিকে সংবিধানের দোহাই দিয়ে আদিবাসীদের ওপর হামলা করছি। আমাদের ঈমান ঠিক আছে তো"
