দুর্গাপুর নিজস্ব সংবাদদাতা : ভারতের কয়েকটি রাজ্যের মধ্যে বাংলা হল কয়লা মাফিয়ারা কয়লা অঞ্চলে কাজ করে কয়লা, 'কালো সোনা' নামেও পরিচিত, এটি একটি মূল্যবান সম্পদ যা রানিগঞ্জ, আসানসোল এবং দুর্গাপুরের মতো এলাকায় কয়লা মাফিয়াদের উত্থানের দিকে পরিচালিত করেছে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট স্থাপিত হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেআইনি কয়লা ব্যবসা এবং কয়লা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে দমনের জন্যকয়লা ব্যবসায় কুখ্যাত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে প্রাথমিক সাফল্য থাকা সত্ত্বেও, মাফিয়া ২০১৭সালে পুনরুত্থিত হয়েছিল, সিবিআই এবং ইডি দ্বারা তদন্তের প্ররোচনা দেয়। কৃষ্ণ মুরারির মতো অপরাধীদের নেতৃত্বে 'ডিও কোল পাস' নামে পরিচিত একটিনতুনসিন্ডিকেটের উত্থানের ফলে শিল্প এলাকা আরও হতবাক হয়ে যায়। অবৈধ কয়লা ব্যবসা এই অঞ্চলে রমরমিয়ে চলেছে, চোরাচালানের সাথে জড়িত বিভিন্ন দুর্বৃত্তরা। সূত্র মারফত জানা গেছে, গত তিন মাস যাবত ধরে এই অবৈধ কয়লা সিন্ডিকেটের অংশীদাররা অনুমতি পাওয়া সঠিক জায়গায় টাকা পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে সময় মত। তাই এই কয়লা সিন্ডিকেট এখন বেশ চাপে রয়েছে। ওই চাপমুক্ত হতেই আবার শিল্পাঞ্চলে নতুন করে ‘প্যাড’ চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে ওই কয়লা মাফিয়া সিন্ডিকেট বলেও জানা গেছে। এই নতুন অবৈধ কয়লা ‘প্যাডের’ দাম ঠিক করা হয়েছে ট্রাক পিছু ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। প্রতিদিন প্রায় ১৭০ থেকে ১৮০টি কয়লা বোঝাই ট্রাক ও লরি শিল্পাঞ্চল থেকে অবৈধ অনুমতি পত্র ‘প্যাড’ নিয়ে নিশ্চিন্তে পাড়ি দিবে রাজ্য থেকে ভিন রাজ্যে। শুধু অবৈধ কয়লার চোরা চালানোর জন্যই ‘প্যাড’ ব্যবহার করা হবে এমনটা নয়। এবার থেকে শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত দামোদর ও অজয় নদ থেকে বালি বোঝাই করা ট্রাক ও লরিকেও দিতে হবে ‘প্যাড’র জন্য নগদ ৭০,০০০ হাজার টাকা। অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে এবার থেকে অবৈধ কয়লা ও বালির প্রতিটি ট্রাক ও লরির জন্য ‘প্যাড’ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করতে চলেছে এই কয়লা মাফিয়া সিন্ডিকেটের কর্মকর্তারা। বেশ কিছু নিচু তলার পুলিশ কর্মীরা এই অবৈধ কয়লা ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
তবে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স ফোর্স যে কয়লা মাফিয়াসিন্ডিকেটের কার্যকলাপের উপর ক্রমাগত নজরদারি করছে তাও বোঝা যাচ্ছে কমিশনারেটের সূত্রগুলি নিশ্চিত করেছে যে সিন্ডিকেট সম্পর্কে একাধিক প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে, সমস্ত ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।কমিশনারেটের নিবেদিত ও সাহসী কর্মকর্তারা ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা অবৈধ কয়লা সিন্ডিকেটের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিষ্পত্তিমূলক আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।