নিজস্ব সংবাদদাতা : বুধবার আসানসোল পুরনিগমের কর্তারা কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশকে সঙ্গে করে আনসারীর ওই অবৈধ নির্মাণ বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে ফেলেন । আসানসোল পুরনিগমের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আরকে শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশেই এই ভাঙার কাজ হয়েছে । বাড়িটি কোনও প্ল্যান ছাড়াই নির্মিত হয়েছিল ।’’ যদিও অভিযুক্ত ইসলাম আনসারীর সাফাই, ওই এলাকায় বেশিরভাগ বাড়ির কোনও প্ল্যান নেই । তাঁর বাড়ির সামনের গলি দখল করার চেষ্টা করছিলেন জানিসার । তিনি সেই গলিটি দেননি বলেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে ।
আসানসোল পুরনিগমের আইনী উপদেষ্টা সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়, আসানসোল পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ার আর কে শ্রীবাস্তব ও সহকারী ইঞ্জিনিয়ার নয়ন নস্কর ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল পুরনিগম সূত্রে জানা গেছে, কুলটির নিয়ামতপুর এলাকায় পেট্রোল পাম্পের পাশে যে অবৈধ নির্মাণটি এদিন ভাঙা হয় সেটি মহম্মদ ইসলাম নামক এক ব্যক্তির বাড়ি। তার প্রতিবেশী মহম্মদ আনসার উদ্দীন হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় রায়ে হাইকোর্ট ওই নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টে মামলাকারী মহম্মদ আনসার জানান, মহম্মদ ইসমাইল তাদের জমি অবৈধভাবে দখল করে, পরে সেখানে পুরনিগমের কোন প্ল্যান বা নকশা ছাড়াই বাড়ি নির্মাণ করেন। এই ব্যাপারে আসানসোল পুরনিগমে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানান তিনি। কিন্তু তাতে কোনো কাজ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। অন্যদিকে, মহম্মদ ইসলাম দাবি করেন, নিয়ামতপুর এলাকার বেশির ভাগ বাড়িই বিনা অনুমতিতে নির্মাণ করা হয়েছে। যাদের কোন প্ল্যান নেই। প্রকারান্তরে তিনি স্বীকার করে নেন যে, তার নির্মাণটি বেআইনি।