হাওড়া অভিজিৎ হাজরা : গ্ৰামীণ হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুর বিধান সভার পাঁচারুল " আমরা বর্ণপরিচয় " মাতৃশক্তির আরাধনায় থিম করেছিল " গ্ৰামীণ সংগ্ৰহশালা" । এই প্রসঙ্গে আমরা বর্ণপরিচয় এর পক্ষে সুদীপ্ত রায় বলেন, " আমরা বর্ণপরিচয় " কোনো সংগঠন, কোনো ক্লাব নয়।আজ থেকে ১১ বছর আগে আমরা কয়েকজন দামাল ছেলে খেলার ছলে শ্যামা আরাধনায় ব্রতী হয়ে শ্যামা পূজা শুরু করেছিলাম। তখন আমরা কোনো থিমকে বেছে নিয়ে পূজা করতাম না। আস্তে আস্তে আমরা শ্যামা পূজা কে কেন্দ্র করে থিম বিবেচনা করে থিম নির্ভর পূজার আয়োজন করে চলেছি। এবার আমরা পূজার থিম করেছি " গ্ৰামীণ সংগ্ৰহশালা " ।

পুরানো দিনের হারিয়ে যাওয়া জিনিসপত্র গ্ৰামের মানুষের কাছ থেকে সংগ্রহ করে এই সংগ্ৰহশালায় প্রদর্শন করা হচ্ছে।সংগ্ৰহশালায় প্রদর্শন করা হচ্ছে পুরানো দিনের বিভিন্ন অস্ত্র, ডায়াল ফোন, হ্যাজাক, লন্ডন,গ্ৰামাফোন, রেডিও, পুরানো দিনের দেওয়াল ঘড়ি,লাটাই,কলের গান, তানপুরা,সেতার,কাঁচের গুলি, পুরানো দিনের কাঠের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র, কাঠের পুতুল, দাঁড়িপাল্লা, বাটখারা। স্থান পেয়েছে শিক্ষক, কবি ও কারুশিল্পী সত্যব্রত মন্ডল এর ইটের উপর খোদাই করা বিভিন্ন মনিষীদের প্রতিকৃতি, বিভিন্ন প্রতিমা।

গ্ৰামীণ সংগ্ৰহ শালা এই থিম করার উদ্দেশ্য , আজকের দিনের শিশু থেকে কিশোর, যুবসমাজ মোবাইলে নিজেদের হারিয়ে ফেলছে। আজকের দিনের শিশু, কিশোর, যুবসমাজ পুরানো জিনিসপত্রের নাম জানে না।দেখেও নি। তাদের এই সমস্ত হারিয়ে যাওয়া জিনিসপত্রের সঙ্গে পরিচিতি করানো জন্য ই এই প্রদর্শনীর আয়োজন।জিনিষ গুলো যতটা সম্ভব গ্ৰামের মানুষদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই থিমকে সাফল্য মন্ডিত করার জন্য গ্ৰামের বয়স্কজনরা সক্রিয় ভাবে সহযোগিতা করেন।তারা তাদের কাছে থাকা পুরানো জিনিষপত্র দিয়ে সহযোগিতা করেন "।
সুদীপ্ত আরো বলেন, এই কাজের জন্য আমরা অনুপ্রেরণাদাতা, পরামর্শদাতা ও অভিভাবক হিসাবে পয়েছি শিক্ষক, কবি ও কারুশিল্পী সত্যব্রত মন্ডল কে। আমাদের ইচ্ছা আগামী দিনে ও এই রকম হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন বিষয়কে থিম করে মানুষকে জানানো।