নিজস্ব সংবাদদাতা : কানাডার ব্র্যাম্পটনে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় এবার সরব সেদেশের সাংসদরা। কানাডার বিরোধী দলনেতা পিয়েরে পোইলিভরে থেকে শুরু করে টরোন্টোর সাংসদ কেভিন ভুয়োং, ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান সাংসদ চন্দ্র আর্য্যরা এক বাক্যে সমালোচনা করেছেন সরকারের। রবিবার ব্রাম্পটনে ‘হিন্দু সভা মন্দিরে’ পুজো দিতে হাজির হন বেশ কয়েক জন ভক্ত। সে সময় তাঁদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন খলিস্তানির বিরুদ্ধে।হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে অটোয়ায় ভারতীয় দূতাবাস ৷ এক্স হ্যান্ডেলে দূতাবাসের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় ৷ সেখানে লেখা, "এই ধরনর ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ৷ ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তার দাবিতে দূতাবাসের তরফে একাধিকবার আলোচনা করা হয় ৷ তারপরও এই ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয় ৷"রবিবার ব্রাম্পটনে ‘হিন্দু সভা মন্দিরে’ পুজো দিতে হাজির হন বেশ কয়েক জন ভক্ত। সেই সময় ওই মন্দিরের সামনে ভারতে ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী হিংসার প্রতিবাদে অবস্থানে বসেছিলেন খলিস্তানপন্থী কয়েক জন। তাঁদের হাতে ছিল খলিস্তানপন্থী সংগঠনের পতাকা, লাঠি। অভিযোগ, ভক্তেরা মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁদের উপরে চড়াও হয় খলিস্তানপন্থী জনতা। মারধরের হাত থেকে মহিলা এবং শিশুরাও রেহাই পায়নি বলে অভিযোগ।
এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন ট্রুডো। সেখানে তিনি লেখেন, “হিন্দু সভা মন্দিরে হিংসার ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়। কানাডার প্রতিটি মানুষের অবাধে এবং নিরাপদে ধর্মাচরণ করার অধিকার রয়েছে।” ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন কানাডার বিরোধী দলনেতাও।অন্য দিকে, কানাডায় অবস্থিত ভারতীয়দের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ওই মন্দিরের বাইরেই শিবির খুলেছিল ভারতীয় উপদূতাবাস। সেখানেও খলিস্তানপন্থীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এই বিষয়ে সরব হয়েছে কানাডার ভারতীয় দূতাবাস। শিবিরে যোগ দেওয়া ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কানাডার সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল টেলিগ্রাফ সাংবাদিক ড্যানিয়েল ব্রডম্যান সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন, তাতে দেখা গিয়েছে যে হাতে খলিস্তানি পতাকা নিয়ে কয়েকজন একটা জায়গার মধ্যে ঢুকে এসে মারধর করছে। লাঠি নিয়ে ছুটে এসে আরও কয়েকজন হামলা চালাচ্ছে। তারইমধ্যে এক মহিলাকে চিৎকার করতে শোনা যায়। যে মন্দিরে খলিস্তানিপন্থী লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, যেখানে ৫৫ ফুট উঁচু হনুমান মূর্তি আছে। উল্লেখ্য, এমনিতেই ব্র্যাম্পটনে খলিস্তানিপন্থীদের দাপট আছে। আর এই মন্দিরে হনুমানজির প্রতিমা স্থাপনের বিরোধিতা করা হয়েছিল এর আগে।