নিজস্ব সংবাদদাতা: আরজি কর কাণ্ডে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়ে ছিল শিয়ালদহ আদালত। সোমবার শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বান দাস এই সাজা শুনিয়েছেন। তিনি মনে করেন, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়। আরজি কর মামলায় শনিবার সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। শুনিয়ে ছিল আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা। যদিও রায়টিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চেয়েছিলেন সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি। তাঁর পরামর্শমতো রাজ্য সরকার পরদিনই ফাঁসির আবেদন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে। পেলেন মামলা দায়ের করার অনুমতিও। এবার মালদহের এক সরকারি অনুষ্ঠানে এসে আরজি কর কাণ্ড রায় নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন,"যাবজ্জীবন মানেটা কী? যাবজ্জীবনে তো অনেকে প্যারোলে ছাড়া পেয়ে যায়। অপরাধী বেঁচে থাকলে তো আবার অপরাধ করবে। কেউ যদি দানবিক হয়, সমাজ কি মানবিক হতে পারে? কেউ অন্যায় করলে কি ছেড়ে দেব? আর জি কর মামলায় আমরা ফাঁসি চেয়েছিলাম। এটা জঘন্য, বিরলতম, স্পর্শকাতর একটা ঘটনা।” তারই সাথে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,"আইনটা আমি একটু একটু জানি, আমি আইনজীবী ছিলাম।” এই সম্পর্কে রাজ্যের আনা ‘অপরাজিতা বিল’ নিয়েও কথা বলেন। জানান "এসব জঘন্য ঘটনা যাতে রোধ করা যায়, তাই আমরা অপরাজিতা বিল এনেছি। ধর্ষণ, খুন, নারীদের উপর নৃশংস অত্যাচারে দোষীদের জন্য প্রাণদণ্ডের বিধান দেওয়া হয়েছে বিলে। বিধানসভায় তা পাশও হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র বিলটা আটকে রেখেছে। কার্যকর করা যাচ্ছে না।”