Skip to content

কড়া নির্দেশের পরেও ব্যর্থ নজরদারি, কর্নাটকের জেলে ফের উদ্ধার মোবাইল ও মাদক!

1 min read

নিজস্ব সংবাদদাতা : এক মাস আগেই (সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল) কর্নাটকের জেলে বন্দিদের ‘বিলাসবহুল জীবনযাপন’ নিয়ে বিতর্কে অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্য সরকার। ওই সময় কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কড়া সতর্কবার্তার পরেও পরিস্থিতির বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। ফের কর্নাটকের বিভিন্ন জেলে তল্লাশি চালিয়ে মোবাইল ফোন ও গাঁজার প্যাকেট উদ্ধারের ঘটনায় কারা ব্যবস্থার নজরদারি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল। সম্প্রতি কর্নাটকে কারা দফতরের ডিজি পদে বদল হয়েছে। নতুন ডিজি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই অলোক কুমার রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে হানা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই অভিযানে বেঙ্গালুরুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে উদ্ধার হয়েছে ছ’টি মোবাইল ফোন। কারওয়ার জেল থেকে মিলেছে সাতটি মোবাইল এবং মাইসুরু কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে উদ্ধার হয়েছে ছ’টি গাঁজার প্যাকেট। উল্লেখযোগ্য ভাবে, গত মাসেই বেঙ্গালুরুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারকে ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। জেলের ভিতরে বন্দিদের মোবাইল ব্যবহার ও টিভি দেখার ভিডিয়ো ভাইরাল হয় (ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আমাদের সংবাদ মাধ্যম)। সেই ঘটনার পর কারা দফতরের তৎকালীন ডিজি বি দয়ানন্দ পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই সময় কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর কারা কর্তৃপক্ষকে কড়া ভাষায় সতর্ক করে বলেছিলেন, এই ধরনের ‘অপদার্থতা’ আর বরদাস্ত করা হবে না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, জেলের ভিতরে যদি বন্দিরা টিভি ও ফোনের মতো সব সুযোগ পায়, তা হলে সংশোধনাগারের প্রয়োজনীয়তাই বা কোথায়। একই সঙ্গে সিসিটিভি ও জ্যামার ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতাও তুলে ধরেন মন্ত্রী। কিন্তু এক মাস কাটতে না কাটতেই ফের মোবাইল ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় স্পষ্ট, নির্দেশ ও সতর্কতার পরেও কারা ব্যবস্থায় নজরদারির ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। নতুন কারাপ্রধানের অভিযান ভবিষ্যতে পরিস্থিতি বদলাতে পারে কি না, এখন সে দিকেই তাকিয়ে প্রশাসনিক মহল।

Latest