Skip to content

আর্থিক ভাবে অক্ষম ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তিকে শংসাপত্র দিতে নারাজ বিজেপি সাংসদের,পাশে দাঁড়ালেন কীর্তি আজাদ!

বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শংসাপত্র দিচ্ছেন সাংসদ কীর্তি আজাদ।

পূর্ব বর্ধমান নিজস্ব সংবাদদাতা : বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের মুইধারা গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ নজরুল ইসলাম। নজরুল ক্যানসারে আক্রান্ত দীর্ঘ দিন ধরে। বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে দু’বছর আগে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। বাদ যায়একটি কিডনি। ইতিমধ্যে তিনি জমি বিক্রি করে চিকিৎসার জন্য খরচ করেছেন প্রায় সাত লক্ষ টাকা । কেমোথেরাপির জন্য বর্তমানে প্রয়োজন এক লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু আর্থিক অনটনের জন্য তিনি সেই চিকিৎসা করাতে পারছেন না। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ড থেকে সাহায্য পাওয়ার আবেদন করতে চান। এই আবেদন । তিনি যে আর্থিক ভাবে অক্ষম, তার প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজন শংসাপত্রের। গত সোমবার এই শংসাপত্রের জন্য বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌমিত্রের কাছে যান নজরুল। কিন্তু তখন সাংসদ দফতরে না থাকায় সাংসদের সচিবকে গোটা বিষয়টি জানান।এই নিয়ে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন তাঁর সচিব। নজরুল বলেন, ‘‘সাংসদের সচিব আমাকে বলেন, আপনি সাহায্যের আবেদনের জন্য শংসাপত্র পাবেন না। কারণ সাংসদ আপনাকে শংসাপত্র দিতে বারণ করেছেন।’’ নজরুলের দাবি, এর পরই শনিবার তিনি বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কীর্তি আজাদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি তৎক্ষণাৎ শংসাপত্রের ব্যবস্থা করে দেন। এই প্রসঙ্গে কীর্তি বলেন,‘‘ভোট মিটে গিয়েছে। এখন সৌমিত্র খান সবার সাংসদ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে ভোট দিয়েছেন, কে তাকে ভোট দেননি, সেই হিসেব করে প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে আবেদনের জন্য শংসাপত্র দেবেন। এটা একেবারেই কাম্য নয়।’’

Latest