নদীয়া নিজস্ব সংবাদাতা: সর্ববৃহৎ দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে চেয়েছিলেন নদীয়ার রানাঘাটের কামালপুর এলাকার অভিযান সঙ্ঘ ক্লাব। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ১১২ ফুটের দীর্ঘ দুর্গা প্রতিমা তৈরি করবেন। কারণ দীর্ঘ পরিকল্পনা, দীর্ঘ প্রস্তুতি, দীর্ঘদিনের পরিশ্রম যেন শুরুর আগেই এক লহমায় শেষ হয়ে গেল। আইনি জটিলতার জেরে শেষেমেশ ১১২ ফুটের দুর্গাপুজো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল রানাঘাটের অভিযান সংঘ।আসলে ১১২ ফুটের দীর্ঘ এই দুর্গা প্রতিমা সম্পর্কে নদীয়ার জেলা শাসকের বক্তব্য ছিল, বিদ্যুৎ দফতর, দমকল , পুলিশ , বিডিও ও রানাঘাটের মহকুমা শাসক উদ্যোক্তাদের কিছু আবেদন বাতিল করেছেন। বিদ্যুৎ দফতর এই প্রসঙ্গে বলেন, ওই পুজো কমিটি প্রতি দিন ৩ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচা হওয়ার কথা জানিয়েছেন কিন্তু আসলে প্যান্ডেলের যে আয়তন তাতে ২০-২৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। একইসাথে দীর্ঘ এই ঠাকুর দেখবার জন্য স্বাভাবিকভাবেই পুজোর দিনগুলোতে মানুষজনের ভিড় উপচে পড়বে, তাতে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন প্রশাসন, খোদ মুখ্যমন্ত্রী ও এই পুজোয় ভিড় নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
উদ্যোক্তারা জানান, আদালতে গিয়ে মামলা লড়বার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নেই তাদের কাছে, তাই পুজো বন্ধ রাখবেন তারা। যে পুজো উদ্যোক্তা আদালতে গিয়েছিলেন তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “আদালত জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়েছিলেন আমাদের, যাতে বিবেচনা করে দেখা হয়। আসলে এই পুজোটায় একটা গোটা গ্রামকে তুলে আনার প্রয়াস ছিল। গ্রামের পরিকাঠামোই উন্নত হত। কারণ গ্রামের ছেলেমেয়েরাই কাজ করছিল। এখন পর্যন্ত ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এটা গ্রামবাসীদেরই টাকা। আদালতে যাওয়ার মতো, গ্রামবাসীদের কাছে আর টাকা নেই। পুজোর এই বিপুল খরচের ধাক্কা সামলানোর পর আদালতে মামলা লড়ার মতো আর সামর্থ্য গ্রামবাসীদের নেইয তাই বাধ্য হয়ে মহালয়ার সকালেই পুজো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন পুজো উদ্যোক্তারা।