নিজস্ব সংবাদদাতা : মঙ্গলবার সকালে কাটিহার এক্সপ্রেস ডাউন (১৩০৩৪) হাওড়া আসার পর প্রতিবন্ধী কামরার বাঙ্ক থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির লোকজনের কথায়, সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি বিহারের কাটিহার থেকে ট্রেনে চড়েন। রাতে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ট্রেনটি হাওড়া আসে। প্রতিবন্ধী কামরার বাঙ্কে তার দেহটি পড়েছিল। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় দেহটি। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১২ বছর কাটিহার রামকৃষ্ণ মিশনের তবলার শিক্ষক ছিলেন। সৌমিত্র বিশেষভাবে সক্ষম ছিলেন। ট্রেন থেকেই সৌমিত্রর যাবতীয় নথিপত্র সহ নগদ ১০ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল নিয়ে নিয়েছে। পরিবারের তরফ থেকে সঠিক তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি করা হয়।প্রাথমিকভাবে রেল পুলিশের ধারনা, মালদহের আগেই ট্রেনের মধ্যে তিনি খুন হন। মালদহ ও তার আগের স্টেশনগুলিতে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেল পুলিশ ইতিমধ্যেই বিহার রেল পুলিশকেও ঘটনাটি জানিয়ে দিয়েছে, যাতে তারা তদন্তে সাহায্য করতে পারে। বর্তমানে, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের খুনের তদন্ত চলমান রয়েছে, এবং পুলিশ আশা করছে দ্রুতই খুনের রহস্য উদঘাটিত হবে।