দুর্গাপুর নিজস্ব প্রতিবেদন:বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন বিভিন্ন এলাকা। রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে জল ছাড়তে শুরু করেছে ডিভিসি। যার জেরে বাংলায় বন্যার আশঙ্কা করছে রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়ায় ক্ষুব্ধ নবান্ন। শনিবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য় উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে জল ছাড়ছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি। এর জেরে বেশ কিছু জায়গা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনার কথাও শোনা যায় তাঁর গলায়।দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেটরি কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ডিভিসি ড্যাম থেকে আরও ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হবে। যা বাংলার মানুষের জন্য ঘোর বিপদজনক হবে বলে আশঙ্কা রাজ্য সরকারের। আর এই জল ছাড়ার বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। যাতে এক তরফে জল ছাড়া না হয় সেই জন্য ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে রাজ্যের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে। কীভাবে সামগ্রিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায় তার সব রকম প্রস্তুতি চলছে।
দুই জলাধার থেকে জল ছাড়লে তা দুর্গাপুর ব্যারাজে এসে ঢোকে। ফলে দুর্গাপুর ব্যারাজের জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। দুর্গাপুর ব্যারাজে ২১১.৫ ফুট পর্যন্ত জলস্তর থাকার কথা। কিন্তু নদীর নিচে পলি জমে জলধারণ ক্ষমতা প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমে গিয়েছে। মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ছাড়া জলের সঙ্গে আসানসোল ও দুর্গাপুরের বৃষ্টির জল মেশে দামোদরে। এই দুই কারণে রাজ্য সেচ দফতর জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াতে বাধ্য হয়।
এখনও পর্যন্ত দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ৬৯,৮২৫ কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ব্যারাজে জলের চাপ সামাল দিতে আরও বাড়বে জল ছাড়ার পরিমাণ। ৫, ৬ তারিখ বিশেষ করে সতর্ক থাকতে বলছে রাজ্য প্রশাসন।