নিজস্ব সংবাদদাতা :আগামীকাল মঙ্গলবার ভোট গণনা। তার আগে সবরকম প্রস্তুতি সারল কমিশন। আগামীকাল মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের মোট ন’জন ও ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের সাতজন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের স্ট্রং রুম করা হয়েছে খড়গপুরের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে। অন্যদিকে, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের ভাগ্য বন্দি রয়েছে ঘাটাল কলেজে। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার চাদরে মোড়া রয়েছে প্রার্থীদের ভাগ্য। সিসি ক্যামেরায় চলছে নজরদারি। স্ট্রং রুমের বাইরে দিনের ২৪ ঘণ্টা পাহারায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। রয়েছে পুলিসও। স্ট্রং রুম চত্বরের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে প্রতিদিনই সেখানে যাচ্ছেন তৃণমূল, বিজেপি ও বাম নেতারা। স্ট্রং রুমের আলো যাতে না নেভে, কর্মীদের সে ব্যাপারে নজর রাখতে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন প্রার্থীরা। কড়া নজর রাখছেন নিজেরাও। কমিশন সূত্রে খবর, মেদিনীপুরে সর্বোচ্চ ২২ রাউন্ড ও ঘাটালে সর্বোচ্চ ১৯ রাউন্ড গণনা হওয়ার কথা। মেদিনীপুরে মোট ৯৮টি টেবিলে গণনা হবে। মেদিনীপুর লোকসভার গণনার ক্ষেত্রে প্রতি বিধানসভা পিছু দু’টি করে হল থাকছে। প্রতি হলে সাতটি করে টেবিল থাকছে। এছাড়াও পোস্টাল ব্যালটের গণনা তিনটি হলে মোট ২০টি টেবিলে হবে। অন্যদিকে, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার জন্য সাতটি হল থাকছে। প্রতি হলে ১৮টি করে টেবিল থাকার কথা। এছাড়াও পোস্টাল ব্যালট গণনার জন্য দু’টি হলে ২১টি টেবিল থাকছে। কাউন্টিং টেবিলের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো থাকছে। টেবিল তারের জাল দিয়ে ঘেরা থাকবে। সেখানে প্রার্থী, নির্বাচনী এজেন্ট, এমনকী কাউন্টিং এজেন্টও ঢুকতে পারবে না। অন্যদিকে, কাউন্টিং হলে কারা ঢুকতে পারবে, কারা ঢুকতে পারবে না, সে ব্যাপারেও স্পষ্ট নিয়ম জারি করেছে কমিশন। কাউন্টিং হলে ঢুকতে পারবেন প্রার্থী, প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট ও কাউন্টিং এজেন্ট। যদিও ফোন ছাড়া ঢুকতে হবে এজেন্টদের। এর বাইরে কোনও জনপ্রতিনিধি, বিধায়ক এমনকী মন্ত্রীও ভিতরে ঢুকতে পারবে না। এমনকী কাউন্টিং হলের ভিতরে ঢুকতে পারবে না পুলিসও। ভিতরে কোনও গোলমাল হলে যদি রিটার্নিং অফিসার অনুমতি দেয়, কেবল তখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢুকতে পারে পুলিস। অন্যদিকে, কোনও মন্ত্রী, বিধায়ক কিংবা সাংসদ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, পুরসভার চেয়ারম্যান, পঞ্চায়েতের প্রধান, কোনও সরকারি বোর্ডের পদাধিকারী, স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মী, সরকারি চাকুরিজীবী কিংবা শিক্ষক কেউই কাউন্টিং এজেন্ট হতে পারবে না।