আসানসোল নিজস্ব প্রতিবেদন : রাতের বেলায় শিবনাথ তখন ছাতুর সরবতের দোকানে বসেছিলেন। এমন সময় তাঁর দিকে ছুটে আসে বুলেট। একটি গুলি লাগে ছাতুর সরবতের ঘটিতে। তা পড়ে যায়। তবে এই ঘটির জন্যই বেঁচে যান শিবনাথ। আর পরের গুলিটি কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। দুই রাউন্ড গুলির শব্দে ছুটে আসেন বাসিন্দারা। টোটো পার্কিং করা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা তুঙ্গে ওঠে। আর তখনই বচসাকে কেন্দ্র করে চলল গুলি। এই ঘটনায় তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। জামুরিয়ার বিজয়নগরে এই প্রকাশ্যে গুলি চালনোর ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষজন। তাহলে কি সহজলভ্য হয়ে উঠেছে আগ্নেয়াস্ত্র? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও এই ঘটনায় কেউ খুন হননি। তবে হতেই পারত এমন বিপদ। তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পলাতক অভিযুক্ত। তার খোঁজ করছে পুলিশ।এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, জামুরিয়ার বিজয়নগরের বাসিন্দা নিশীথ পাল এবং তাঁর ছেলে শিবনাথ পাল। আবার জামবাদের খনির বাসিন্দা পরেশ ঘোষ। এই বাবা–ছেলের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন খনির বাসিন্দা। তবে তাঁদের মধ্যে বচসা বড় আকার ধারণ করে। পরেশ ঘোষ পেশায় টোটো চালক। আর এই টোটো রাখা নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা বাধে। একে অপরকে ভুল প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। তারপর বচসা থামলেও পরেশের পরিকল্পনা থামেনি। তাই পরে বাবা–ছেলের উপর গুলি চালিয়ে দেন পরেশ বলে অভিযোগ।