নিজস্ব সংবাদাতা : কথায় আছে না কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। তার প্রমাণ করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর-২ ব্লকের চাঙ্গুয়াল গ্রামের ছেলে শুভজিৎ চক্রবর্তী। পঁচিশের শুভজিতের শুরুটা দারিদ্রের সাথে লড়াই করেই। ছোট্ট অ্যাসবেসটরসে ছাওয়া একতলা মাটির বাড়ি। ছিটেবেড়ার দেওয়াল। বর্ষার বৃষ্টিতে ছাদ থেকে জলও পড়ে। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা শুভজিতের বাবা কৃষ্ণদাস চক্রবর্তী গানের গৃহশিক্ষক। মা বন্দিতা চক্রবর্তী গৃহবধূ। এককালে তাঁরা দু’জনেই যুক্ত ছিলেন যাত্রাপালার সঙ্গে। বাবা মায়ের সাহচর্যেই শুভজিতের গানের প্রতি আকর্ষণ। করোনাকালে দীর্ঘসময় গানের কোনও টিউশন ছিল না অভিজিতের বাবার কাছে। তাও হার মানেনি চক্রবর্তী পরিবার। সকলে মিলে শুরু করেন পানের দোকান। মায়ের সঙ্গে অভিজিৎও বসতেন পানের দোকানে। পান বিক্রির সঙ্গে গলা ছেড়ে গান ধরতেন। পানের দোকানে বসে গান শোনানো সেই ছেলেটি এখন সর্বভারতীয় ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে গান শোনাচ্ছে গোটা দেশকে। বিখ্যাত রিয়্যালিটি শোয়ের শেষ ১৫ জনের তালিকায় উঠে এসেছে শুভজিৎ চক্রবর্তী।


দেখে নেওয়া যাক কি বলেন কারিশমা কাপুর