Skip to content

ইউপিএসসি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগে কী ভাবে ব্যবহার ভুয়ো শংসাপত্রের? গাফিলতি কাদের? আইএএস পূজা খেড়করকে নিয়ে বিতর্ক যেন থামার নামই নেই!

বিতর্কিত আইএএস পূজা খেড়কর।

নিজস্ব সংবাদদাতা : নিট-সহ একাধিক পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে এমনিতেই কেন্দ্র অস্বস্তিতে। এ বার ইউপিএসসি। প্রশ্ন উঠেছে যে, ইউপিএসসি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগে কী ভাবে ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করা সম্ভব? গাফিলতি কাদের? প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগে মহারাষ্ট্রের পুণের সহকারী জেলাশাসক হিসাবে নিযুক্ত প্রশিক্ষণরত IAS পূজা খেড়করকে বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিগত ব্যবহারের বিদেশি গাড়িতে ভিআইপি স্টিকার, নেতা-মন্ত্রীদের মতো লাল-নীল আলো এবং মহারাষ্ট্র সরকারের বোর্ড ব্যবহার করতেন। এমনকি অতিরিক্ত জেলাশাসকের কক্ষ ‘দখল’ করা এবং জেলাশাসকের সহকারীর কাছে বেআইনি দাবিদাওয়া পেশ করে সেই দাবি পূরণের জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ছিল। এর পরই একে একে পূজার নানান কীর্তি প্রকাশ পেতে থাকে। এ বার জানা গেল, ভুয়ো ‘প্রতিবন্ধী’ শংসাপত্র বানিয়েছিলেন পূজা। মূলত ইউপিএসসি পরীক্ষায় সংরক্ষণের সুবিধা পেতে। আলাদা আলাদা নাম ও পদবি ব্যবহার করেছেন পূজা। একটিতে তাঁর নাম খেড়কর পূজা দিলীপ রাও, অন্যটিতে পূজা মনোরমা দিলীপ খেড়কর। আগেই পূজার বিরুদ্ধে ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করে নিজেকে ‘অনগ্রসর’ (ওবিসি) শ্রেণিভুক্ত বলে দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল। পুণের কাশীবাই নাভালে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী ছিলেন পূজা। কলেজের ডিরেক্টর অরবিন্দ ভোরে জানান, ২০০৭ সালে ওই কলেজের ছাত্রী পূজা MBBS পড়ার সময়ে ওবিসি সংরক্ষণ ব্যবহার করলেও, তবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কোনও বিষয় প্রকাশ্যে আসেনি। মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সময়ে জাতিগত সংরক্ষণের সুবিধা নিতে ওবিসি নোম্যাডিক ট্রাইব-৩ ক্যাটেগরিতে ভর্তি হয়েছিলেন। সংরক্ষণের সুবিধা পেতে ভুয়ো জাতিপরিচয়গত শংসাপত্রের পর এ বার ভুয়ো প্রতিবন্ধী শংসাপত্রের আবেদন করেন তিনি। দু’বার ইউপিএসসি পরীক্ষায় সেই ভুয়ো মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জমাও দেন একটি ২০১৯ সালে, অন্যটি ২০২১ সালে। এক বার দৃষ্টিশক্তির সমস্যার কথা উল্লেখ করে, আর এক বার মানসিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে। আলাদা আলাদা কমিটি দ্বারাএই দু’টি সার্টিফিকেটই ইস্যু হয়েছিল আহমেদনগর জেলা হাসপাতাল থেকে। এরপর পুণের একটি হাসপাতালে ২০২২সালে ফের আংশিক প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্রের জন্য আবেদন করেন পূজা। কিন্তু চিকিৎসকেরা তা নাকচ করে বলেন, “ওই শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব নয়।” কিন্তু, পিম্পরির আর একটি হাসপাতাল ২০২২সালেই প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্র জোগাড় করে নেন তিনি। ওই বছরই নিয়োগের আগে ছ’বার নানা অজুহাতে পূজা এড়িয়ে গিয়েছেন প্রতিবন্ধকতার পরীক্ষা। যা এমস-এ বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। এত গলদ সত্ত্বেও তিনি কী ভাবে চাকরি পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পূজাকে নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই প্রকাশ্যে আসে আইএএস অফিসার অভিষেক সিংহের নামও। ২০১১ ব্যাচের এই অফিসার ২০২৩-এ চাকরি থেকে ইস্তফা দেন।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনিও ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করে সংরক্ষণের সুযোগ নিয়েছিলেন। আর এতেই প্রশ্ন ওঠে কিভাবে পূজা-অভিষেকরা নিয়োগ পেলেন ?

Latest