পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : মেদিনীপুর শহরের কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত বল্লভপুর মন্ডল মহল্লা মুসলিম এলাকায় অবস্থিত হজরত সুফি চাঁদসা বাবার মাজার। এই মাজারে দায়িত্ব পালন করে আসছেন দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে চমত কুমার সেতুয়া। তিনি জানান ১৯৮০ সালে চাঁদসা বাবার মৃত্যুর পর তার এই স্থানে সমাধি অথবা মাজার অবস্থিত হয়। তারপর থেকেই মাজারে দেখাশোনা করে আসছেন হিন্দুরা। গড়ে তোলেন তাঁরই এক হিন্দু ভক্ত চমত কুমার সেতুয়া। তিনি এই চাঁদসা বাবার সেবাতে নিজের জীবন নিয়োজিত করেছেন।মাজারে হিন্দু-মুসলিম বা অন্য কোন ধর্মের মধ্যে ভেদাভেদ নেই। তাই এই মাজারে মেলে তৃপ্তি মুগ্ধ চাঁদসা বাবার মহিমা। মানুষের মধ্যে বিশ্বাস এই মাজারে এসে যা চাইবেন বাবা কাউকে খালি হাতে ফেরত পাঠায় না এর জন্য দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসে প্রতি বৃহস্পতিবার।
মাজারে শুধু বছরে একদিন বাৎসরিক অনুষ্ঠান হয়নি, প্রতি বৃহস্পতিবারই হয়।বিনামূল্যে এই মাজারে ভোগ নিবেদন করা হয় ভক্তদের জন্য। এই ভোগের জন্য হিন্দু- মুসলিম থেকে দূর দুরান্ত ভক্তরা ভিড় জমায় এই ভোগ গ্রহণ করার জন্য, ভোগে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, দু'রকমের তরকারি,আলু পোস্ত, চাটনি, পায়েস। চমত কুমার সেতুয়া বলেন সেই ছোট বয়স থেকে আগলে রেখেছি এবং নিয়ম মেনেই অনুষ্ঠান করা হয় বাবার। কিন্তু বর্তমানে ভগ্নদশাই পরিণত হচ্ছে এই মাজারে। আমরা চাই এই মাজারের দিকে একটুকু নজর দিক বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এই মাজারের মহিমা- কারো ছেলে না হওয়ায়, চাকরি, পড়াশোনা জীবনের দুঃখ- দুর্দশা থেকে মুক্ত হবার জন্য বাবার কাছে শ্রদ্ধার সাথে চাইলে পুত্র সন্তান লাভ হয়, কেউ চাকরি পায়, কেউ আবার কোটিপতি হয়। তাই বাবার মাজারে হাজির হতে থাকেন ভেদা ভেদ ভুলে অসংখ্য ভক্তরা।এক ভক্ত বলেন এই বৃদ্ধ মাজারের দেখভাল করতে গিয়ে ক্রমশত অসুস্থ হয়ে পড়েছে কিন্তু কোন কার্পণ্য নেই। এরকম হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির ছবি কোথাও দেখা যাবে না। ইনি না থাকলে মাজারের অবস্থা কি যে হবে তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি।