নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজধানী দিল্লির অবস্থা ভালো নেই। ঢেকে রয়েছে ঘন ধোঁয়াশায়। ইতি মধ্যেই দূষণ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অনলাইন মাধ্যমে দিল্লির সমস্ত স্কুল-কলেজ গুলিতে শুরু হয়েছে পঠনপাঠন। এমনকি অনলাইন ক্লাস হবে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও। তারই সাথে সাথে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে গুরুগ্রাম এবং নয়ডার স্কুলগুলিতেও। বিঘ্নিত হয়েছে দিল্লির ট্রেন পরিষেবা। দৃশ্যমানতা কম থাকার জন্য আংশিক ব্যাহত হয়েছে বিমান পরিষেবাও। দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না কড়া পদক্ষেপ করেও। বাতাসের গুণমান সূচক ‘অতি ভয়ঙ্কর’ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই বলেন,‘‘উত্তর ভারতের আকাশ ঢেকে রেখেছে ধোঁয়াশার একাধিক স্তর। এই ধোঁয়াশা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হল কৃত্রিম বৃষ্টি। দিল্লিতে এখন মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর হস্তক্ষেপ করা উচিত। দূষণ নিয়ে পদক্ষেপ করা তাঁর নৈতিক দায়িত্ব। সর্বোপরি, দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রেরই পদক্ষেপ করা উচিত।’’ তারই সাথে এও বলেন,কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবকে বেশ কয়েক বার চিঠি দিয়েছেন দিল্লিকে দূষণমুক্ত করতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর অনুমতি চেয়ে এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বৈঠক করার জন্য। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। গোপাল রাই জানিয়েছেন, তিনি ভূপেন্দ্রকে প্রথম চিঠি দিয়েছিলেন ৩০ অগস্ট এর পরে ১০ এবং ২৩ অক্টোবরও কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন । কিন্তু কেন্দ্রের তরফে জবাব আসেনি। এ বার তাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছেন তিনি। উল্লেখ্য, সাধারণত বাতাসের গুণমানের সূচক ৪৫০ অতিক্রম করলেই তা ‘অতি ভয়ানক’ বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু দিল্লিতে মঙ্গলবার সকালে বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৪৯৪ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। এমনকি অশোক বিহার, আনন্দ বিহার, ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়াম-সহ বেশির ভাগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে বাতাসের গুণমানের সূচক ৫০০ অতিক্রম করে গিয়েছে। দ্বারকায় (৪৮০) ছিল বাতাসের গুণমান সূচক সবচেয়ে কম । যা ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ের উপরেই রয়েছে।