Skip to content

মেয়ের জন্মদিনে ফেরা হল না,স্বপ্ন রয়ে গেল কফিনবন্দি হয়ে!

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : বুধবার ভোররাতে কুয়েতের রাজধানী শহরের দক্ষিণে মাঙ্গাফ এলাকার যে বহুতল আবাসনে আগুন লাগে, সেই আবাসনেই শতাধিক ভারতীয় শ্রমিকদের সঙ্গে দ্বারিকেশ্বর পট্টনায়েক(৫২) ছিলেন মেদিনীপুর জেলা দাঁতন থানার খণ্ডরুই গ্রামে বাসিন্দা গত চার বছর থেকে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে মেদিনীপুর শহরে শরৎপল্লী এলাকায় বাড়ি বানিয়েছেন বর্তমানে থাকেন মেয়ে ও স্ত্রী।মেদিনীপুরে পরিবারকে ছেড়ে গত কুড়ি বছর ধরে কুয়েতেই একটি নির্মাণ সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। প্রমোশন পেয়ে NBTC নামক ওই সংস্থার সুপারভাইজার পদও পেয়েছিলেন।পরিবার সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরত এক মাত্র মেয়ে ঐশী পট্টনায়কের জন্মদিন সেপ্টেম্বর মাসে। সেই সময় বাড়ি ফেরার কথা ছিল দ্বারিকেশ্বরের।''সব কিছু ত্যাগ করে বিদেশে ছিলেন মেয়েকে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখাতেন। আর কয়েকটা বছর পর বিদেশে থেকে নিজের দেশে ফিরে আসার কথা ছিল। এত বড় বাড়ি মেদিনীপুর শহরে, অবসর সময় মেয়ে ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কাটাবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন রয়ে গেল কফিনবন্দি হয়ে তার দেহ সেই স্বপ্নের বাড়িতে এসে হাজির হয় শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ । দেহ দেখে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়ে তারি সাথে পাড়া-প্রতিবেশী দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে পড়ে।অবশেষে তিনি নিজের স্বপ্ন বাড়িতে ফিরলেন দ্বারিকেশ পট্টনায়েক তবে কফিনবন্দি হয়ে। শনিবার তাঁর দেহ হাতে পেল পরিবার। তাঁর মৃত্যুর প্রায় তিন দিন পরে। শনিবার দ্বারিকেশ্বর পট্টনায়েক দেহ বিমানে সকাল সাড়ে ৭টার সময় দমদম বিমানবন্দরে দেহ গ্রহণ করেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু  ও বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল  বিমানবন্দরেই দ্বারিকেশের কফিনে শ্রদ্ধার্ঘ জানান তাঁরা। পরে সড়ক পথে মেদিনীপুরের উদ্দেশে রওনা করানো হয় কফিনবন্দি দ্বারিকেশের দেহ। মেদিনীপুর থেকে লোকসভা নির্বাচনের জয়ী প্রার্থী জুন মালিয়া দ্বারিকেশের কফিনবন্দী দেহ নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান। ডেকে আনেন তাঁর স্ত্রী অন্তরা পট্টনায়েক এবং কন্যা ঐশী পট্টনায়েক কে। কফিনবন্দি দেহতে ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় পরে সেখান থেকে দাঁতনে দ্বারিকেশের জন্ম ভিটের উদ্দেশে দেহ নিয়ে রওনা হয় দ্বারিকেশের পরিবার। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য করা হবে।সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় জুন মালিয়া বলেন, ''আমাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে পাঠিয়েছেন পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি ,। দ্বারিকেশের স্ত্রী তিনি মুখ্যমন্ত্রী কে মেসেজ পাঠিয়েছেন জুন মালিয়ার মাধ্যমে, জুন মালিয়া বলেন তার ওই মেসেজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দেবেন বলে জানিয়েছেন।পরিবারকে ভাল রাখতে এঁরা বিদেশে গিয়ে কাজ করেন। তাঁদের সাথে এমন একটা ঘটনা ঘটলে মন ভারাক্রান্ত হয়ে যায়।

Latest