পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৮ই ডিসেম্বরে ভর্তি হয় রাঙামাটি শান্তিনগর এলাকার বছর ১৩ এর কিশোরী সুপ্রিয়া রায়, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ১০ই ডিসেম্বরে রাতে। পরিবারের অভিযোগ করে ভুল চিকিৎসার জন্য তাদের মেয়ের মৃত্যু। রবিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ রাঙ্গামাটি শান্তিনগরে মৃতা কিশোরীর বাড়িতে দেখা করতে আসেন মেদিনীপুরের সাংসদ দীলিপ ঘোষ।পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, একটা সাধারন গরীব বাড়ীর মেয়ে ভুল চিকিৎসায় মারা গেল, এই ধরণের গাফিলতি কেন হচ্ছে ? আমার মনে হয় এটা সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত হয়ে গেছে। মূখ্যমন্ত্রী বলেন, তার পা নাকি ডাক্তাররা নষ্ট করে দিয়েছে, বড় বড় হাসপাতালে বড় বড় ডাক্তাররা যদি এই ধরণের গাফিলতি করেন, কোথাও না কোথাও প্রশাসনের ঢিলেমি আছে। নাহলে এই ধরণের ঘটনা কেন ঘটছে বার বার। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর টাকা পাওয়ার জন্য সরকারের লোকেরা, চিকিৎসকেরা এবং একশ্রেণীর দালালরা যত্রতত্র নার্সিং হোম খুলে ফেলছে। যেখানে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নেই, উপযুক্ত ডাক্তার নেই। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যসাথীর টাকা পাওয়ার জন্য। সরকারের এগুলো দেখা উচিৎ। আর সরকার নিজেদের চালাতে পারছে না, এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করবে কি করে ? চিকিৎসার গাফিলতির আর কত মৃত্যু দেখা যাবে এই প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে ?