পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা: নবীন ও প্রবীণ সঙ্গে নিয়ে ১০০ বছর পথ চলার অঙ্গীকার শক্তি সঙ্ঘ ব্যায়ামাগার।আজ থেকে ঠিক একশো বছর আগে, ১৯২৫ সালে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরে সঙ্গত বাজারের প্রতিষ্ঠিত হয় শক্তি সংঘ ব্যায়ামাগার। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মেদিনীপুরের সঙ্গত বাজারের শক্তি সঙ্ঘ ব্যায়ামাগার শ্রীরামনবমীর পূণ্য লগ্নে। সেইমতো নিজেদের প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন বাংলার যুবকরা। অস্ত্র প্রশিক্ষণ, বন্দুক চালানো, বোমা তৈরির মধ্যে দিয়ে হাত পাকাতে শুরু করেন তাঁরা। ১৯০২ সালে বিপ্লবী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে অনুশীলন সমিতি। তার চার বছর পরেই প্রতিষ্ঠিত হয় যুগান্তর দল।কেবল সহিংস আন্দোলন পরিচালনা নয়, বৈপ্লবিক সংগঠনগুলির মূল উদ্দেশ্যই ছিল বিপ্লবীদের আত্মিক, মানসিক, শারীরিক, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি ঘটানো। তারই প্রশিক্ষণ হতো শক্তি সঙ্ঘে। মেদিনীপুরের বীর বিপ্লবী শহিদ রামকৃষ্ণ রায়, ব্রজকিশোর চক্রবর্তী, মৃগেন্দ্রনাথ দত্তদের এই ক্লাবে নিয়মিত যাতায়াত ছিল।শক্তি সংথ ব্যায়ামাগারের জায়গাটি ছিলো ধরনি দাসের।পরবর্তীকালে ধরনি দাসের কাছ থেকে কিশোরী মোহন দাস কিনে নিয়েছিল । ওই সময় মনা পাল, শরৎচন্দ্র দাস, অশোক চক্রবর্তী, কানাইলাল দাস, গিরিধারী সেন, নিকুঞ্জ বিহারী দাস, বলাই দাস, নকুল দাস, বিষ্ণুপদ মাইতি এরা সকলে ওই সময় ব্যামাগারে সক্রিয় সদস্য ছিলেন। সেই ভয়ঙ্কর যুগে যে কয়েকজন বিপ্লবী যুবক এই অসমসাহসিকতা দেখিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম স্বাধনতা সংগ্রামী মদন মোহন খানের নাম উল্লেখযোগ্য। তখন থেকে ক্লাবের তরফেও বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হতো। এই ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিশ্বশ্রী মনোহর আইচ ও ওয়েলিফটিং একাধিকবার চ্যাম্পিয়নশিপ হয়েছেন অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার তথা ভারতের গৌরব রত্ন শ্রী রমা প্রাসাদ মুখার্জী। এই দিন উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সুশান্ত চক্রবর্তী ও মেদিনীপুরের সাংসদ অভিনেত্রী জুন মালিয়া । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার তথা ভারতের গৌরব রত্ন শ্রী রমা প্রাসাদ মুখার্জী, মেদিনীপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সত্য রঞ্জন ঘোষ,মেদিনীপুর পৌরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান,বজ্রংলাল আগারওয়াল,সন্দীপ সিংহ,অসিত পাল,ক্লাবের সদস্যরা। রমা প্রসাদ মুখার্জী বলেন, শুধু কথায় নয় কাজেও এই ব্যায়ামাগারের বডি বিল্ডিং এবং ওয়েলিফটিং একাধিকবার অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা চ্যাম্পিয়নশিপ এবং টিম চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন করার কৃতিত্ব দেখিয়েছে। তিনি আরো বলেন এই শক্তিসংঘ ব্যায়ামাগারের ঐতিহাসিক কৃতিত্ব শ্রী সাধন দেব সিনিয়র ন্যাশানাল ওয়েট লিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে লাইট ওয়েট চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। ঐ রেকর্ড সমগ্র মেদিনীপুরের কোন ব্যায়ামাগার আজও ভাঙ্গতে পারেনি। বডি বিল্ডিংয়ে বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ক্লাবের সদস্য হরিবাহাদুর ছেত্রী, সূর্যকান্ত দাস, সঞ্জীব ভকত, তরুণ দাস, পিন্টু সাউ। ক্লাবের সভাপতি চন্দন বসু ও সম্পাদক পিন্টু সাউ ।




